সিলেটের আলোঃঃ সিলেটে কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে বেড়েছে কামারদের ব্যস্ততা। দা, বটি, চাপাতি, ছুরি বানাতে দিন রাত ঘাম ঝরাচ্ছেন তারা। করোনা ভাইরাসের কারণে প্রতিবছরের তুলনায় এবার তাদের ব্যবসা কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছে। সিলেট মহাজনপট্টি, চাঁদনীঘাট, কালীঘাট, তোপখানা, কাজীরবাজার প্রভৃতি এলাকায় রয়েছে কামারদের আবাস। সারা বছরই কামারপাড়ায় ব্যস্ততা নিত্যসঙ্গী। তবে কোরবানির ঈদ এলে সেই ব্যস্ততা পায় ভিন্নমাত্রা। কেউ তৈরি করছে দা, কেউ বা তৈরি করছে চাপাতি আবার কেউ কেউ তৈরি করছে ছুরি। আবার কেউ পুরাতনগুলো ধার দিচ্ছেন এবং নতুনগুলো সারিবদ্ধভাবে দোকানের সামনে সাজিয়ে রেখেছেন বিক্রি করার জন্য। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সিলেটের কামারপাড়ায় এখন দম ফেলার ফুসরত নেই তাদের।
সিলেট বন্দবাজারের কামার জয় দবেনাথ কর্মকার জানান,নতুন চাপাতি ১২শ টাকা থেকে ১৫শ টাকা, দা ৬শ টাকা থেকে ৯শ টাকা, চাকু ১শ টাকা থেকে ১২০ টাকা, খুন্তি ৪০ টাকা, শাবল ১৫০ থেকে ২শ টাকা, হাতা ৫০ টাকা থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ঈদ যতই কাছে আসবে, দাম আরও বাড়বে।কামার চুনারু লাল বলেন, সারাবছর গুটিকয়েক দা, ছুরি বিক্রি ও শানের কাজ করে দোকান ভাড়া, কর্মচারীদের বেতনসহ আনুষঙ্গিক খরচ দিয়ে লোকসানে থাকতে হয়। এ লোকসান পোষাতে কোরবানির ঈদের অপেক্ষা করি আমরা। কোরবানির ঈদ আসলেই আমাদের ব্যবসা চাঙা হয়। ঈদ ছাড়া বাকি দিনগুলোতে তাদের তেমন একটা ব্যস্ততা থাকে না বলে জানান তিনি।
নিতাই মনি কর্মকার বলেন, কোরবানির জন্য তৈরি করা দা, ছুরি, বঁটি, ধামা বিক্রি এবং পুরনো দা, ছুরিতে শান করা আয় দিয়ে সারাবছর জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু এভার করোনার প্রভাবে আমাদের মাঝে। পেশাটা টিকিয়ে রাখার জন্য সারাবছর লোকসান দিয়ে দিনাতিপাত করি। কোরবানি ঈদের অপেক্ষায় থাকি সারাবছর। এই কোরবানির আয় দিয়েই বছরজুড়ে আমাদের সংসার চলে। তবে সরকারে পক্ষ থেকে আমাদের সহযোগিতা করা আহবান জানান। তা না হলে আগামীতে এ পেশা টিকিয়ে রাখা খুব কষ্ট হয়ে পড়বে বলে তিনি আশঙ্কা করেন।